সদ্য হারিয়েছি ঠাকুমা কে। কয়েক বছর আগে দুই দাদু কেও। ছোটবেলার বটগাছ, ছায়া যতদিন ছিল, রোদের তেজ টা বুঝিনি। আজ বড় হলাম। মা হলাম। আমার বাবা মা ও ধীরে ধীরে বয়সের হাত ধরে senior সিটিজেন অফ ইন্ডিয়া। আজ বুঝি, সেই শিকড়ের টান। সেই ছায়ার শীতলতা।
------_-------_-------
দেয়াল জুড়ে হাসির আলো ছিটিয়ে সকাল হলো
চৌকোনো ফ্রেম - গৃহস্থ প্রেম,হালকা কাঁচের ধুলো।
প্রেশার কুকার-ল্যাপটপ-ফোন, ছুটছে ঘড়ির কাঁটা
হাতের মুঠোয় বালির ঘড়ি, জীবন - বায়োডেটা ।
কুমির ডাঙ্গা, বালির ফটক, রান্নাবাটির হাড়ি
কুলের আচার, শুকতারা বই, বাসন্তী রং শাড়ী;
দাদুর দেওয়া ফাউনটেন পেন,ডায়রি লেখায় মত্ত
ভাঙা টুল এর নিচে লুকানো দিদার আমসত্ত্ব।
ফ্রেম জুড়ে হাসছে সবাই, হাসি যেমন হয়
দাদু, ঠাম্মা, দিদা,দাদুন- আমার তখন নয়।
বালির ঘড়ি আলগা হয়ে কবে,
পিছলে গেছে আঙুল ছুঁয়ে। নীরবে।
চৌকোনো ফ্রেম, ঘুড়ির মতই আকাশ জুড়ে ওড়ে
যে আকাশে শৈশব নামে কখনো ঝুপ করে।
বাষ্প ওঠে চায়ের কাপে, ‘ফাউনটেন’ এর নীলে
চৌকোনো ফ্রেম গল্প লেখায় মেঘ কুড়োবে বলে।
-শতরূপা
No comments:
Post a Comment